আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতেহ বলেছেন, লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করে ইসরাইলি বাহিনীর অনুপ্রবেশ, চিকিৎসা সরবরাহ, ওষুধ, তাঁবু ও মোবাইল হোম বন্ধ করে দেয়া, সেইসাথে গুলি, গোলাবর্ষণ ও সামরিক অনুপ্রবেশ।
থাওয়াবতেহ বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে এই চুক্তি স্বস্তি বয়ে আনবে। কিন্তু চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ১৯৪ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।’
তিনি আরো জানান, তার অফিস এই লঙ্ঘনের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রতিদিনের প্রতিবেদন জমা দেয়।
তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী বারবার ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছে, আবাসিক এলাকায় যানবাহন পাঠিয়েছে, বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যার ফলে বেসামরিক নাগরিকরা নিহত ও আহত হয়েছে।
থাওয়াবতেহ বলেন, ইসরাইল ত্রাণের পুরো বহরকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। এমনকি বিদেশে চিকিৎসার জন্য রোগীদের সরিয়ে নিতে মিসরের সাথে রাফাহ ক্রসিংও পুনরায় চালু করেনি। ইসরাইল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে ইসরাইল রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ করছে। ইসরাইলি বাহিনী সেখানকার ভবনগুলো ধ্বংস করেছে ও জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে।
মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তির অধীনে গাজায় ১৩ হাজার ২০০ ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র তিন হাজার ২০৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।
Your Comment